সুপারফুড চিয়াসিড

 সুপারফুড চিয়াসিডের স্বাস্থ্যগুন

পৃথিবিতে যে কয়েকটি সুপারফুড রয়েছে তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে চিয়াসিড। চিয়াসিড মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য। আমাদের দেহের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন,যেন আমাদের শরীর ঠিকমতো কাজ করতে পারে।চিয়াসিড হচ্ছে অন্যতম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি উপাদান।এতে রয়েছে দুধের চেয়ে ৫ গুন বেশি ক্যালসিয়াম,কমলার থেকেও৭ গুন ভিটামিন সি,কলার থেকেও দ্বিগুণ পটাশিয়াম এবং স্যামনের থেকেও৮ গুন বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। চিয়াসিডের ব্যবহার ইদানিং ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।




আসুন আমরা চিয়াসিডের সঠিক ব্যবহার জেনে নিই।

চিয়াসিডের উপকারিতাঃ

১।চিয়াসিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা আমাদের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে ও হৃ্দরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।

২।উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারনে এটি হজমশক্তি বাড়াতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

৩।ফাইবারের কারনে পেট ভরে থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৪।কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন থাকায় শরীরের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

৫।এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

খাওয়ার নিয়মাবলিঃ

চিয়াসিড কখনই শুকনো খাওয়া উচিৎ নয়। অন্তত ৩০মিনিট অথবা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে পান করা সবচেয়ে ভালো। এতে সহজে হজম হয় এবং পেটে গ্যাস হয় না।দিনে ১/২ চামুচ খাওয়াই যথেষ্ট।সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর , ব্যায়ামের আগে বা পরে অথবা রাতে ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে খাওয়া সবচেয়ে উত্তম।

অ্যালারজি থাকলে অথবা গর্ভবতী অবস্থায় খাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url